মনা যশোর প্রতিনিধিঃ
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ
বাদী শারমিন সুলতানা শান্তা গত ইং ২৫/০৪/২৫খ্রিঃ কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন গত ইং ১৩/০৪/২০২৫খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় কোতয়ালী থানাধীন রামনগর কলুপাড়া সাকিনস্থ তার পিতার বসত বাড়িতে টু-লেট দেখে অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাসা ভাড়া নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসে এবং তারা একপর্যায়ে বাসা ভাড়া নেওয়া বাবদ এডভান্স এক হাজার টাকা প্রদান করে যায় এবং পরের দিন ইং ১৪/০৪/২০২৫খ্রিঃ বাসার নিচতলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে ওঠে।
এমতাবস্থায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা বসবাসের এক পর্যায়ে গত ইং১৭/০৪/২০২৫খ্রিঃ সন্ধ্যায় তাদের পরিচিত ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে কিছু খাবার দিয়ে যায় এবং রাত অনুমান ১১ টার দিকে আসামিরা সুকৌশলে বাদীর মা, ভাই, ভাইপো, নানী সহ পাশের রুমের ভাড়াটিয়াদেরকে তাদের রুমে ডেকে নিয়ে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষুধ মিশিয়ে অচেতন করে বাদীর বাবার বসতঘর হতে নগদ ২,০০,০০০/- টাকা সহ বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালঙ্কার(মূল্য অণুমান ১০,০০,০০০/-টাকা), চুরি করে নিয়ে যায়।
বাদীর এমন এজাহারের প্রেক্ষিতে জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেন এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি),যশোরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি),যশোরের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/ শিবু মন্ডল, এসআই(নিঃ)/বিপ্লব সরকার সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে গত ইং ২৬/০৪/২০২৫খ্রিঃ বিকাল ১৫.১০ ঘটিকায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানা এলাকা হতে আসামি মোঃ জাহারুল(৪৫) ও মোসাঃ মারুফা (৩৫)’দ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এবং তাদের সহযোগী অন্যান্য আসামিদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। এসময় আসামিদ্বয়ের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের নিকট হতে আত্মসাৎকৃত ০১টি স্বর্ণের রুলি, ০২টি চুড়ি, ০১টি চেইন, ০১ জোড়া দুল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
পরবর্তীতে আসামিদের তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে ইং ২৬/০৪/২০২৫ খ্রিঃ রাত ২০.৩০ ঘটিকায় খুলনা ফুলতলা থানা এলাকা হতে অপর আসামি মামুন মিয়া(৪৫) কে গ্ৰেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে এবং আসামি মামুনের হেফাজত হতে আত্মসাৎকৃত ০২টি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই দিন ইং ২৬/০৪/২০২৫ খ্রিঃ রাত ২২.১৫ ঘটিকায় খুলনা দৌলতপুর থানাধীন নিশাত কমপ্লেক্স হতে আসামি মোঃ লিটন(৪৭) ও বিপ্লব কর্মকার(৫০)’দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় আত্মসাৎকৃত স্বর্ণালঙ্কার ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে এবং আসামি লিটন ও বিপ্লব কর্মকারের হেফাজত হতে ০১ আনা ০১ রতি গলিত স্বর্ণ(বল) উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কৌশলে চেতনা নাশক প্রয়োগের মাধ্যমে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১।মামুন মিয়া (৪৫), পিতা- আব্দুল হাই, সাং- উত্তর ডিহি, থানা- ফুলতলা, খুলনা,
২।মোঃ জাহারুল (৪৫), পিতা- মতিউর রহমান ব্যাপারী, সাং- দেলবাডী, থানা- নাজিরপুর, পিরোজপুর,
৩।মোসাঃ মারুফা (৩৫), স্বামী- শহিদুল ইসলাম, সাং-কলারদনিয়া, থানা- নাজিরপুর, পিরোজপুর
৪।মোঃ লিটন (৪৭), পিতা- মৃতঃ মোঃ লুতফর রহমান আকন, সাং- যোগীপোল, থানা- শিরমনি, খুলনা,
৫।বিপ্লব কর্মকার (৫০), পিতা- মৃত শচীন্দ্রনাথ কর্মকার, সাং- পাবলা সাহাপাড়া, থানা- দৌলতপুর, জেলা- খুলনা।
উদ্ধার -
১। ০১টি স্বর্ণের রুলি, ০২টি চুড়ি, ০১টি চেইন, ০১ জোড়া দুল,
২। ০২টি স্বর্ণের চেইন,
৩। ০১ আনা ০১ রতি ওজনের গলিত।